স্পোর্টস ডেস্ক
পরিকল্পনা করেই নিলামে বিদেশি খেলোয়াড়দের কেনে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাদের সরে যাওয়ার ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। এতে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা পড়ে যায় বিপদে। দলের পারফরম্যান্সেও পড়ে এর কুপ্রভাব। আর তাদের বদলি খেলোয়াড় পেতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই ধরনের বিপদে যেন আর না পড়তে হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। নিলামে বিক্রি হওয়ার পর বিদেশি কোনো খেলোয়াড় বৈধ কারণ ছাড়া সরে গেলে তাদের দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এ ব্যাপারে ১০টি দলই সম্মতি জ্ঞাপণ করেছে বলে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে। বৈধ কারণগুলো কী কী সেটাও জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। কোনো খেলোয়াড়ের বোর্ড যদি তাকে আন্তর্জাতিক খেলার জন্য সরিয়ে নেয়, কিংবা যদি খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েন, অথবা পারিবারিক কোনো দায়বদ্ধতার কারণে দলে যোগ না দিতে পারেন, তাহলে সেটা তারা মেনে নেবেন। তবে কোন খেলোয়াড়কে কতদিনের জন্য পাওয়া যাবে, সেই ব্যাপারে নিলামে পরিষ্কার ধারণা থাকলেও তাদের কাছে বিষয়টা গ্রহণযোগ্য হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বেশ কয়েকবার। যেসব খেলোয়াড়কে নিলামে ভিত্তিমূল্যে কেনা হয়, তাদের কেউ কেউ নিলাম পরবর্তী সময়ে সরে দাঁড়ান। এমনটাও দেখা গেছে যে, খেলোয়াড়ের ম্যানেজার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়ে দেয় আরও বেশি টাকা পেলে তার ক্লায়েন্টকে পাওয়া যাবে। গত দুই চক্রে (২০১৮-২৪) মেগা নিলামে বড় বড় বিদেশি তারকারা নাম না দিয়ে বাড়তি দামের আশায় ছোট নিলামের জন্য নিবন্ধন করার বিষয়টি নজরে এসেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। ২০২২ সালের মেগা নিলামে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যাওয়া ঈশান কিষানের (১৫ কোটি ২৫ লাখ রুপি)। তবে সবশেষ ছোট নিলামে তারও চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হন মিচেল স্টার্ক (২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি) এবং প্যাট কামিন্স (২০ কোটি ৫০ লাখ)। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মতে এই পদ্ধতি কাজে লাগাচ্ছেন খেলোয়াড় ও তাদের ম্যানেজাররা। তারা বলছে, নতুন কিংবা উদীয়মান বিদেশি তারকারা ছোট নিলামের জন্য নিবন্ধন করলে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বড় তারকাদের মেগা নিলামে নিবন্ধন করতেই হবে। সেখানে যদি তারা অবিক্রিত থাকেন তবেই পরের মৌসুমের ছোট নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
